মাত্র একদিনে ঘুরে আসতে পারেন এমন পাঁচটি ছোট দেশ
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি
বর্তমানে চীনের অর্থনীতি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও অর্থনীতিতে অবিসংবাদিত নেতৃত্ব বজায় রেখেছে। ২০১৯ সালের প্রাক-সংকটকালে, চীনের মোট দেশজ উৎপাদন প্রায় $১৪.৩ ট্রিলিয়ন ছিল, অন্যদিকে মার্কিন জিডিপি প্রায় $২১.৪ ট্রিলিয়ন বলে ধারনা করা হয়েছিল। তবে, দেশ দুটির মধ্যে ব্যবধান ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। সংকটের বছর ২০২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে একমাত্র চীনের অর্থনীতিই সম্প্রসারিত হয়েছিল। করোনভাইরাস মহামারীর মধ্যে অন্যান্য সবগুলো প্রধান অর্থনীতি গভীর মন্দার মুখোমুখি হয়েছিল। উপরন্তু, সেই দেশগুলোর অর্থনৈতিক সূচকসমূহ এখনও নিম্নগামী। অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, যদি চীন সাম্প্রতিককালে অর্জনকৃত গতিতে তাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে যেতে থাকে, তাহলে তাদের অর্থনীতি বিশ্বের নেতৃস্থানীয় হয়ে উঠবে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই তথ্য চীনের শক্তিশালী অবস্থান প্রতিফলিত করে। পূর্বের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০৩৩ সালের আগে চীনকে খুব কমই নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে আসতে দেখা যাবে। অতএব, এটি স্পষ্ট যে তাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম দ্রুত গতিতে ত্বরান্বিত হয়েছে।
রিজিওনাল কম্প্রিহেন্সিভ ইকোনমিক পার্টনারশীপ (আরসিইপি)
অন্যান্য বৈশ্বিক ঘটনাবলির কারণে অনেকেরই গত বছরে সংঘটিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নজরেই আসেনি, তা হল পনেরটি এশিয়ান দেশ দ্বারা স্বাক্ষরিত একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি। এই জোটে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার এবং ফিলিপাইন। উল্লেখ্য, চীন থেকে অতিরিক্ত আমদানি অভ্যন্তরীণ বাজারের ক্ষতি বয়ে আনতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত এই চুক্তিতে যোগদান করেনি। এই চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত সদস্য দেশগুলো বৈশ্বিক জিডিপির ৩২%। এর মধ্যে বৃহত্তম ৫৫% শেয়ার চীনের অন্তর্গত। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে, এই পনেরটি রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তি বিশ্ব অর্থনীতিতে $১৮৬ বিলিয়ন এবং তাদের সদস্যদের জিডিপিতে ০.২% যোগ করবে। সাধারণ দৃষ্টিতে, আরসিইপি-এর বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাদের সহযোগিতা কার্যক্রম ব্রিকসের মতোই হবে।
চরম দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে জয়
মাত্র কয়েক মাস আগে, চীনা কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিল যে তাদের দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে দারিদ্র্য দূর করা হয়েছে। পরিসংখ্যানগত তথ্য অনুসারে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে থাকা দশটি অঞ্চলের বার্ষিক মাথাপিছু আয় অবশেষে $১,৭৫০-এর গড় ছাড়িয়েছে। এভাবে দেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী ব্যক্তির সংখ্যা ৫.৫ মিলিয়ন কমেছে। অধিকন্তু, দেশটির সরকার ২০২৩ সালের মধ্যে চীনের মাথাপিছু গড় আয় $১২,৫৩৫-এ উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে। বর্তমানে, দেশটিতে মার্কিন ডলারে সর্বোচ্চ সংখ্যক মিলিয়নিয়ার সমৃদ্ধ দেশগুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে, যে সংখ্যা প্রায় ১.৩ মিলিয়ন।
চীনের শেয়ার বাজারের বৃদ্ধি
বর্তমানে, চীনের পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের প্রকারভেদের দিক থেকে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। পাঁচ বছর আগে, বিনিয়োগে আগ্রহ বৃদ্ধির ফলে প্রচুর সংখ্যক অ-পেশাদার ট্রেডার চীনা বাজারে বিনিয়োগ করেছিল। অবশ্যই, এই কার্যকলাপের মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল, যা তখন পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছিল। এখন চীনা পুঁজিবাজার ৭০% প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডার, ২৫% রিটেইলার্স এবং ৫% বিদেশী বিনিয়োগকারী সমন্বয়ে গঠিত। ২০১৯ সালে, দেশটির কর্তৃপক্ষ চীনা স্টক মার্কেটের উদার নীতিমালা গ্রহণ সহ অর্থনৈতিক সংস্কারের বড় একটি কর্মসূচি শুরু করেছে। ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। প্রাক-সংকট কালে চীনের সম্পদ ব্যবস্থাপনা শিল্প $১৬ ট্রিলিয়ন পৌঁছেছিল।
চলমান প্রযুক্তিগত বিপ্লব
চীনের প্রযুক্তি শিল্পও অত্যন্ত গতিশীল রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, করোনাভাইরাস মহামারী এই গতিশীলতাকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করেনি বরং বৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। প্রথমত, কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যে দেশটির ওষুধ শিল্পের ব্যাপক উন্নতি করেছে। সুতরাং, হেলথ কিউআর কোড ভিত্তিক অ্যাপের সাহায্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তারকে মোকাবেলা করা প্রথম দেশ হয়ে উঠেছে চীন। এছাড়াও, চীন জলবায়ু ও মহাকাশ প্রযুক্তিতে প্রভূত উন্নতি করছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটির কর্তৃপক্ষ একটি নতুন আইএসএস নির্মাণকাজ নিয়ে এগিয়ে চলেছে। তাছাড়া, চীন আবহাওয়া পরিবর্তনের সক্ষমতা বাড়াতে চায়। চীনা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত যে মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রযুক্তি সহজলভ্য হবে।
ডিজিটাল ইউয়ান
চীনে ডিজিটাল ইউয়ানের আনুষ্ঠানিক প্রবর্তন চলতি বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ভার্চুয়াল মুদ্রাটি বর্তমানে জনগণ, ব্যাংক এবং বিভিন্ন পরিষেবার মধ্যে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য ২০২২ সালের অলিম্পিকে ডিজিটাল ইউয়ান প্রচলন করা হবে।
বিশ্বের অনেক দেশ তাদের বিশাল আকার দিয়ে দর্শনার্থীদের বিস্মিত করে থাকে। বিপরীতে, এমন কিছু দেশ রয়েছে যাদের ক্ষুদ্র আকার সমানভাবে বিস্ময়কর। এই নিবন্ধে, আমরা পৃথিবীর পাঁচটি ক্ষুদ্রতম দেশ সম্পর্কে জানব।
পরপর দুই বছর ধরে, হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ফিফটি বেস্ট ব্র্যান্ড বিশ্বের সেরা ৫০টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকার সেরা পাঁচটি হোটেল সম্পর্কে জেনে নিন।
বৈশ্বিক অর্থ বাজারে অসংখ্য বিনিয়োগকারী রয়েছে, যা প্রত্যেকেরই লক্ষ্য হচ্ছে লাভ করা, কিন্তু শুধুমাত্র একটি নির্বাচিত গোষ্ঠী ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের লেনদেন সম্পাদন করে। এই নেতৃস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাজারে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এই নিবন্ধে সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক