empty
 
 
07.01.2025 09:53 AM
GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ৭ জানুয়ারি - ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে

This image is no longer relevant

সোমবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেছে, যার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে কোন কারণ ছিল না। হঠাৎ করেই ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং মার্কিন সেশন শুরু হওয়ার আগেই পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য 120 পিপস বেড়ে যায়। আংশিকভাবে, এই মুভমেন্টকে অন্যায্য বলা যায়, কারণ গত বৃহস্পতিবার পাউন্ড স্টার্লিং স্থানীয় কোনো কারণ ছাড়াই 120 পিপসের বেশি দরপতনের শিকার হয়েছিল। তবে, আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতায় বিরাজ করছে। এবং নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে নতুন করে দরপতনের ঘটনা কোন বিস্ময় সৃষ্টি করার কথা নয়।

মূল প্রশ্ন হল কেন সোমবার পাউন্ডের মূল্য বাড়ল এবং কেন শুক্রবার এটির দরপতন ঘটেনি। শুক্রবার মার্কিন ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আসে; তবে, সোমবার এমনকি কোন প্রতিবেদনের প্রকাশের আগেই পাউন্ডের মূল্য বাড়তে শুরু করে। এই প্রতিবেদনের প্রকাশ সত্ত্বেও, মার্কেটের ট্রেডাররা কেন পাউন্ড কিনছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। একমাত্র প্রাসঙ্গিক বিষয় ছিল ডিসেম্বরের জন্য যুক্তরাজ্যের পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর দ্বিতীয় অনুমান, যেটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। ফলে, গত তিন দিনে আমরা মার্কেটে পরস্পরবিরোধী এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট লক্ষ্য করেছি।

এই উপসংহারের ভিত্তিতে, আমরা আরও কয়েকটি উপসংহার টানতে পারি। প্রথমত, মার্কেটে বৈশ্বিক ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে, যা অন্তত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে। দ্বিতীয়ত, আমরা নিকট ভবিষ্যতে এই পেয়ারের মূল্যের যৌক্তিক মুভমেন্টের উপর নির্ভর করতে পারি না। এই সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এই প্রতিবেদনগুলোর প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া আমাদের শঙ্কাকে নিশ্চিত বা দূর করবে। যদি মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা আবারও ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে বা ডলারের মূল্য নামমাত্র বৃদ্ধি পেতে দেখি, যা পরে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি দ্বারা পুষিয়ে নেয়া যায়, তাহলে এটি কারেকশনের সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করবে।

এমনকি বহু-সপ্তাহব্যাপী কারেকশন ঘটতে পারে, তবে এটি মাঝারি-মেয়াদে GBP/USD পেয়ারের পূর্বাভাসের পরিবর্তন ঘটাবে না। আমরা মনে করি মাঝারি-মেয়াদে ব্রিটিশ মুদ্রার দর বৃদ্ধির কোন ভিত্তি নেই। যেকোনো কারেকশন সূচক এবং অসিলেটরগুলোকে "আনলোড" করার সুযোগ হিসাবে কাজ করতে পারে, যা গত দুই মাসে বারবার ওভারসোল্ড জোন প্রবেশ করেছে এবং বুলিশ ডাইভারজেন্স দেখিয়েছে।

আমাদের মূল্যায়নে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য 1.2800 লেভেল পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে; তবে, এই বৃদ্ধি নতুন করে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনা নির্দেশ করবে না। আরও স্পষ্টভাবে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এটি নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা হিসাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যা দুই থেকে তিন সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এবং সাপ্তাহিক চার্টে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অক্ষুণ্ন থাকবে। আমরা মনে করি যে 2025 সালে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকবে, যার ন্যূনতম লক্ষ্যমাত্রা $1.1800। এটি কেবলমাত্র ব্রিটিশ মুদ্রার ক্ষেত্রে একটি ন্যূনতম লক্ষ্য, কারণ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এই বছরে দুবারের বেশি সুদের হার কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

This image is no longer relevant

গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 110 পিপস, যা এই পেয়ারের জন্য "গড়" হিসাবে বিবেচিত। সুতরাং, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, আমরা আশা করছি যে এই পেয়ার 1.2399 এবং 1.2619 এর মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিম্নমুখী হচ্ছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সংকেত দিচ্ছে। CCI সূচকটি আবারও ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, তবে নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে যেকোনো ওভারসোল্ড স্ট্যাটাস শুধুমাত্র একটি কারেকশনের সংকেত হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সূচকের বুলিশ ডাইভারজেন্সও একটি কারেকশন নির্দেশ করেছিল, যা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:

  • S1 – 1.2451
  • S2 – 1.2329
  • S3 – 1.2207

নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:

  • R1 – 1.2573
  • R2 – 1.2695
  • R3 – 1.2817

ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। আমরা এখনও লং পজিশন এড়িয়ে যাচ্ছি কারণ আমরা মনে করি যে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে এমন সমস্ত কারণ ইতোমধ্যে একাধিকবার মূল্যায়ন করা হয়েছে, এবং নতুন কোনো কারণ নেই যা আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্দেশ করবে। যদি আপনি "বিশুদ্ধ" প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তাহলে মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের উপরে স্থির হলে 1.2573 এবং 1.2619 লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন নেওয়া যেতে পারে। সেল অর্ডারগুলো আরও প্রাসঙ্গিক, যার লক্ষ্য 1.2399 এবং 1.2329, তবে মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে মূল্য স্থির হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

চিত্রের ব্যাখা:

  • লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।
  • মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
  • মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।
  • অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।
  • সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।
এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.