empty
 
 
12.11.2024 09:10 AM
১২ নভেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবারেও EUR/USD কারেন্সি পেয়ার উল্লেখযোগ্য দরপতন প্রদর্শন করেছে। লক্ষ্যণীয় যে ইউরোর দরপতনের (অথবা মার্কিন ডলারের বৃদ্ধির) দ্বিতীয় ঢেউ গত সপ্তাহে মার্কিন নির্বাচনের সাথে শুরু হয়েছিল। তবে আমরা মনে করি না যে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের বিষয়টি দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। যদিও, রিপাবলিকানদের ক্ষমতায় আগমন মার্কিন ডলারকে অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করেছে, কিন্তু নির্বাচনের বাইরেও ডলারের শক্তিশালী হওয়ার জন্য অনেক কারণ রয়েছে।

মনে রাখবেন, ১৮ সেপ্টেম্বরের পরে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল, যখন ফেডারেল রিজার্ভ আনুষ্ঠানিকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয়করণ চক্র শুরু করেছিল। এই পরিস্থিতি দেখলে কিছুটা বিপরীতমুখী মনে হতে পারে, তবে আমরা অনেকবার সতর্ক করেছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা আগেই ফেডের নীতিমালার নমনীয়করণের প্রভাব মূল্যায়ন করেছিল। এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর, ডলারের দরপতনের আর কোন কারণ ছিল না। তাই, আমরা মনে করি যে মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থান বজায় থাকবে। সপ্তাহের প্রথম দিনে আমরা দেখতে পেয়েছি যে মার্কেটের স্থানীয় কোন সংবাদ বা প্রতিবেদন ছাড়াই ডলার কিনতে প্রস্তুত।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দুটি কার্যকর সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, মূল্য 1.0726-1.0733 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছে এবং পরে 1.0678 এর লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে নেমে গেছে। ফলস্বরূপ, নতুন ট্রেডাররা সকালে শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারত এবং সন্ধ্যার মধ্যে যেকোন সময় তা ক্লোজ করতে পারত। মঙ্গলবারেও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের উচ্চমাত্রার ভোলাটিলিটি ট্রেডিংকে আগের চেয়ে সহজ করে তুলেছে।

মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, আবারও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে, তবে মার্কেটের ট্রেডারদের এটির প্রতি কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি যে যদি শীঘ্রই কোন কারেকশন হয়ও, এটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে না, এবং ইউরোর মূল্য বৃদ্ধিতে সমর্থন যোগানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে সংবাদের প্রয়োজন হবে। তবে এমন সংবাদ আসলেও তা সব সময় ইউরোকে সহায়তা করতে নাও পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার কেনার দিকে বেশি মনোযোগী।

আমরা মনে করি যে সোমবার 1.0678 এর লেভেলের ব্রেকের কারণে মঙ্গলবারেও এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। যেকোনো ক্ষেত্রে, এমন শক্তিশালী নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে ক্রয় করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়, কারণ মূল্য আরও কমতে পারে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, ট্রেডিং করার জন্য আমাদের নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত: 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011। মঙ্গলবারে ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে জার্মানি এবং ইইউ-এর জন্য ZEW থেকে প্রকাশিতব্য ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সূচক রয়েছে এবং জার্মানিতে ভোক্তা মূল্য সূচকের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে। তবে এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে সম্ভবত প্রবণতার পরিবর্তন বা ইউরোর মূল্যের বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট ঘটাতে পারবে না। কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক প্রেক্ষাপট ছাড়াই ডলারের মূল্য বাড়তে থাকবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.