empty
 
 
11.11.2024 10:03 AM
১১ নভেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবারে নিম্নমুখী প্রবণতায় GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে 1.2860 থেকে 1.3043 এর একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে। যদিও এই রেঞ্জটি বেশ প্রশস্ত, তবে এটি এখনও একটি হরাইজন্টাল চ্যানেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। শুক্রবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক, যা নভেম্বরের পূর্বাভাস এবং আগের মাসের ফলাফল ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এটি পুনরায় ডলারের দর বৃদ্ধিকে সমর্থন যুগিয়েছে।

তবে এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, গত সপ্তাহে ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল সত্ত্বেও ডলারের প্রায় কোন দরপতন দেখা যায়নি। এটি নির্দেশ করে যে যেকোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ডলার ক্রয়ের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। অন্য কথায়, কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচকের উপর ভিত্তি করে ডলারের মূল্যের তীব্র বৃদ্ধি ননফার্ম পেরোলস প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফলের চেয়ে বেশি ছিল। আমরা এখনও মনে করি যে মধ্যমেয়াদে ডলার শক্তিশালী হবে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

শুক্রবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি শক্তিশালী সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথম সিগন্যালটি রাতের বেলা 1.2988–1.2993 এরিয়ায় পাওয়া যায়। যখন ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশন শুরু হয়, তখনও মূল্য সিগন্যাল লেভেল থেকে খুব বেশি দূরে সরে যায়নি, যা শর্ট পজিশন ওপেন করার একটি সুযোগ দেয়। মার্কিন সেশনে, মূল্য 1.2913 লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যায়, যা শর্ট পজিশন ওপেন করার একটি কারণ প্রদান করে।

সোমবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এক মাসব্যাপী নিম্নমুখী প্রবণতার পরে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি কারেকশন শুরু করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বরং এই পেয়ারের মূল্য 1.2860 থেকে 1.3043 রেঞ্জের মধ্যে ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়ে গেছে। আমরা সম্পূর্ণভাবে মধ্যমেয়াদে পাউন্ডের দরপতনকে সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল হিসাবে বিবেচনা করছি। শীঘ্রই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি কারেকশন শুরু হতে পারে, তবে এর জন্য এটিকে সমর্থনের প্রয়োজন হবে, যা ফেডারেল রিজার্ভ বা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড থেকে এখনো আসেনি।

সোমবারে, নতুন ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করতে পারেন। তবে, 1.2860 লেভেলটি পেয়ারের আরও দরপতনে বাধা সৃষ্টি করবে এবং এই লেভেল থেকে রিবাউন্ড করলে মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এখন 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365 লেভেলে ট্রেড করা যেতে পারে। যদিও সোমবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে তারপরও এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.