আরও দেখুন
শুক্রবারে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। এই বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি এমন একটি দিনে ঘটেছে যেদিন কোন গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোন মৌলিক প্রেক্ষাপট ছিল না। আবারও ডলারের শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে, যা একটি পুনরাবৃত্তিমূলক পরিস্থিতি নির্দেশ করে: এর আগের দীর্ঘ সময়ের অযৌক্তিকভাবে ডলারের দরপতন হয়েছে এবং এটির মূল্য আরও বাড়তে থাকা উচিত।গত সপ্তাহে আমরা দেখতে পেয়েছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন জয়ের প্রতি ইতিবাচকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাতে তাড়াহুড়ো করছে না এবং ডিসেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতির সম্ভাবনাও রয়েছে।
আমরা মনে করি যে এই ধরনের মৌলিক প্রেক্ষাপট মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে সমর্থন করে। তবে, আমরা পুনরাবৃত্তি করছি যে প্রায় যেকোন অবস্থাতেই মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের পর্যাপ্ত পরিমাণে কারেকশন হয়েছে এবং আবার এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে, যা দেড় মাস আগে শুরু হয়েছিল এবং এটি দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী মুভমেন্টের সূচনা হতে পারে।
শুক্রবারে ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে তিনটি শক্তিশালী সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0797–1.0804 জোন থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছিল, যা শর্ট পজিশন ওপেন করার জন্য সঠিক সিগন্যাল প্রদান করেছে। পরে সন্ধ্যায়, পেয়ারটির মূল্য 1.0726–1.0733 জোন ব্রেক করে নিচের দিকে গিয়েছিল, যা নতুন ট্রেডারদের তাদের সেল পজিশন ধরে রাখার সুযোগ দিয়েছিল। ফলে, ভালো পরিমাণ লাভ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এক মাসব্যাপী নিম্নমুখী মুভমেন্টের পরে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন কারেকশন শুরু হতে পারে, কারণ গত সপ্তাহের মাঝামাঝি পরিলক্ষিত দরপতনের কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল না। তবে, আমরা মনে করি যে যেকোনো নতুন কারেকশন শক্তিশালী হবে না, যদি না ধারাবাহিকভাবে ইউরোপজোনের পক্ষে ইতিবাচক সংবাদ সমর্থন প্রদান করে। এমনকি সেক্ষেত্রেও, বর্তমান মার্কেট সেন্টিমেন্ট ডলার ক্রয়ের পক্ষে রয়েছে।
সোমবারের জন্য, 1.0726–1.0733 জোনটি গুরুত্বপূর্ণ। মূল্য এই জোন থেকে রিবাউন্ড করতে পারে এবং নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091 লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত। সোমবার ইউরোপজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, এটি এই নিশ্চয়তা দেয় না যে এই পেয়ারের মূল্য স্থবির থাকবে। মনে রাখবেন, গত সপ্তাহটি চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং অনেক মৌলিক বিষয় এখনও কার্যকর রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, শুক্রবার অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু না থাকা সত্ত্বেও এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।