empty
 
 
28.10.2024 09:03 AM
২৮ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

সোমবার যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফলে, কারেন্সি মার্কেটে বড় মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সম্প্রতি ইউরোর মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছিল, কিন্তু দ্রুত আবার নিম্নমুখী হয়েছে। তাই কোন কারেকশন ছাড়াই ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী একটি ক্লাসিক থ্রি-ওয়েভ কারেকশন যৌক্তিক হতে পারে, তবে এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই এক মাস ধরে নিম্নমুখী রয়েছে। যদি কারেকশন ঘটে, তবে এই পেয়ারের মূল্য সম্ভবত ১০০ পিপসের বেশি শক্তিশালী হতে পারে। পাউন্ডের ক্ষেত্রে, মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে থাকায় কোনো টেকনিক্যাল কারণ নেই যা পাউন্ডের দর বৃদ্ধির আশা জাগাতে পারে।

মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

সোমবারের মৌলিক ইভেন্ট হিসেবেও তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধুদের বক্তৃতা নির্ধারিত নেই, যদিও গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ফেডের প্রতিনিধিগণ যথেষ্ট বক্তব্য ছিল। এমনকি অ্যান্ড্রু বেইলিও দুইবার বক্তব্য দিয়েছেন, তবে তিনি মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলেননি। আমাদের কাছে এখন এটি স্পষ্ট যে, ফেড তাড়াহুড়ো করে মূল সুদের হার কমানোর দিকে যাবে না, যেখানে ইসিবি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আরও দ্রুত মুদ্রানীতি নমনীয়করণের পদক্ষেপ নিতে পারে, যা ইউরো ও পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে।

উপসংহার:

সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতনের পুনরায় শুরু হওয়ার বেশ ভালোই সম্ভাবনা রয়েছে। একটি কারেকশনেরও সম্ভাবনা রয়েছে, তবে স্পষ্ট কারেকশন চলাকালীন সময়ে ইউরো এবং পাউন্ড কেনা যুক্তিযুক্ত নাও হতে পারে। কারেকশনটি ৫০% বা তার বেশি পর্যন্ত যেতে পারে, বা মাত্র ২৩.৬% পর্যন্ত হতে পারে। প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে ট্রেড করা উচিত হবে, কারেকশনের ভিত্তিতে রিভার্সাল ট্রেডের পূর্বাভাস দেয়ার চেষ্টা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.