আরও দেখুন
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল, যদিও এর জন্য কোনো স্থানীয় কারণ ছিল না। গতকাল ডলার বা পাউন্ড সম্পর্কিত কোনো ইভেন্ট ছিল না বা কোন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি। তবু এই পরিস্থিতিতেও ব্রিটিশ পাউন্ড দরপতনের দিকে ঝুঁকেছিল। আমরা স্পষ্টভাবে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এবং একটি ট্রেন্ড লাইন দেখতে পাচ্ছি, যেখানে পাউন্ড প্রায় প্রতিদিনই দরপতনের শিকার হচ্ছে। আমরা মনে করি, বাই সিগন্যাল খুঁজে বের করার প্রয়োজন নেই। কারেকশন ছাড়াই কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য কত দ্রুত এবং কত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল তা বিবেচনা করে, এই ধরনের পরিস্থিতি আমাদের অবাক করবে না। যেহেতু মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয় করার বিষয়টি পুরোপুরি বা প্রায় পুরোপুরিভাবে মূল্যায়ন করে ফেলেছে, এখন তাদের দৃষ্টি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আসন্ন পদক্ষেপের দিকে সরে যাচ্ছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখন পর্যন্ত মাত্র একবার সুদের হার কমিয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে শীঘ্রই সুদের হার হ্রাসের গতি ত্বরান্বিত হবে। এটি পাউন্ডের ধারাবাহিক দরপতনের একটি যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি তৈরি করে।
মঙ্গলবারের ৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে 1.2980-1.2993 এরিয়ার কাছে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই লক্ষ্যমাত্রার দিকে যথেষ্ট সময় মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল না যা থেকে উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জিত হতে পারে। তবে, এখন বাই সিগন্যালকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে না, এবং সেল সিগন্যাল গঠনের পরে মূল্য প্রায় ২৫ পিপস কমে গিয়েছিল।
এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে এবং নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা মাঝারি মেয়াদে এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি সমর্থন করি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। শীঘ্রই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের একটি কারেকশনের প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে, তবে এর জন্য মূল্যকে ট্রেন্ড লাইনের উপরে স্থিতিশীল হতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতে, এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান ভোলাটিলিটি বেশ কম, তাই এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী এবং দ্রুত উত্থান অবাস্তব ধারণা বলে মনে হচ্ছে।
বুধবার এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট বজায় রাখতে পারে, কারণ ট্রেন্ড লাইন এখনও ব্রেক করা হয়নি। যতক্ষণ মূল্য ট্রেন্ড লাইনের নিচে রয়েছে, এই পেয়ার কেনার আলোচনা করা অর্থহীন হবে। এমনকি যদি এমনটি হয়ও, সেটি কেবল একটি কারেকশন হবে।
৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে বর্তমানে 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440 লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে। বুধবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি কম থাকতে পারে, তবে এই মুহূর্তে ট্রেডারদের কাছে শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার জন্য যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।