empty
 
 
17.10.2024 08:05 AM
১৭ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এগুলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বৈঠক এবং ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্যের কারণে আড়ালে পড়ে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোজোনে সেপ্টেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে। দ্বিতীয় অনুমানের ফলাফল সাধারণত প্রথমটির থেকে খুব বেশি আলাদা হয় না, তাই এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে, খুচরা বিক্রয়, শিল্প উৎপাদন এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের আগ্রহ থাকতে পারে, তবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডারদের দৃষ্টি মূলত ইসিবির বৈঠকের ফলাফলের দিকে থাকবে। GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে ইউরো এবং পাউন্ডের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের কারণে এই পেয়ার সহজেই EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অনুসরণ করতে পারে।

মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবারের মূল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইসিবির বৈঠক এবং ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 90% সম্ভাবনা রয়েছে যে আজকের বৈঠকে ইসিবি মূল সুদের হার কমাবে, তবে প্রেস কনফারেন্সে লাগার্ডে কী বলবেন, তা এখনও অনিশ্চিত। মার্কেটে বিতর্ক চলছে যে অক্টোবরের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ কি ডিসেম্বরের পরিবর্তে করা হবে, না কি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিসেম্বরেও সুদের হার কমাবে, ফলে এটি চতুর্থবারের মতো সুদের হার কমানো হবে। যদি দ্বিতীয়টি ঘটে, তাহলে ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে যদি প্রথমটি হয়, তাহলে ইউরোর মূল্যের বাউন্স এবং কারেকশন দেখা যেতে পারে।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, তবে সবকিছুই লাগার্ডের বক্তব্যের ওপর নির্ভর করবে। ব্রিটিশ পাউন্ড ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট অনুসরণ করতে পারে, তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল দ্বারাও প্রভাবিত হতে পারে। সামগ্রিকভাবে, আপাতত এমন কোনো প্রযুক্তিগত ইঙ্গিত নেই যা উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা তৈরি করতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.