আরও দেখুন
সোমবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কোন উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক অস্থিরতার মাত্রা কেবলমাত্র 30 পিপস অতিক্রম করেছে, তাই আমরা বলতে পারি যে কোন কার্যকর মুভমেন্ট দেখা যায়নি। সারাদিনে, শুধুমাত্র ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যেটিকে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। পূর্বাভাস অনুযায়ী ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় মাসিক ভিত্তিতে 0.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এইরূপ ফলাফল সত্ত্বেও মার্কেটে খুব কমই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। ইউরোর মূল্য 1.0950 লেভেলের কাছাকাছি একটি সাপোর্ট লেভেল খুঁজে পেয়েছে এবং সেখান থেকে কারেকশন শুরু হতে পারে। এই সপ্তাহের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন। অন্তত এই প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত, শান্তভাবে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হতে পারে, যদিও মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে। আমরা মনে করি এই পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, যা অন্তত এক বা দুই মাস স্থায়ী হতে পারে। ট্রেডারদের এটি নিশ্চিত হতে হবে যে ফেডারেল রিজার্ভ নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে দ্রুত সুদের হার কমাবে না। এই ক্ষেত্রে, ডলার সম্ভবত মধ্য মেয়াদে শক্তিশালী হতে থাকবে।
সোমবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে (TF) এই পেয়ারের মূল্য কয়েকবার 1.0971 এর লেভেল অতিক্রম করেছে, যা আমরা 1.0951 এ সমন্বয় করেছি। সারাদিন মার্কেট ফ্ল্যাট থাকায় মার্কেটে এন্ট্রি করা ঠিক হয়নি। নতুন ট্রেডাররা ইউরোপীয় সেশন চলাকালীন সময়ে কোনও সিগন্যাল নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করতে পারে যখন এটি সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট ছিল না যে মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যাবে। যাইহোক, তারা সম্ভবত লাভও করতে পারেনি বা লোকসানের শিকারও হইয়নি কারণ এই পেয়ারের মূল্য সারাদিন স্থবির ছিল।
গত সপ্তাহে, প্রতি ঘণ্টার চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার দিকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, মধ্যমেয়াদে আবার অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি শুরু হতে পারে, কেননা কেউ জানে না মার্কেটের ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকবে। যাইহোক, প্রতি ঘন্টায় টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা রয়েছে। একটি কারেকশনের পরে, ইউরোর আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা যায়।
মঙ্গলবার আপনি 1.0951 লেভেল থেকে ট্রেড করতে পারেন। যেহেতু টানা পাঁচ দিন ধরে ইউরোর দরপতন হচ্ছে, এই সপ্তাহে একটি কারেকশনের সম্ভাবনা বেশ যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হচ্ছে, তাই এই পেয়ারের মূল্যের সামান্য বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুত থাকুন।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140, 1.1189-1.1191, 1.1275-1.1292। ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবারের জন্য কোনও উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই সম্ভবত অস্থিরতা কম থাকবে এবং এই পেয়ারের মূল্যের মন্থর মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।