আরও দেখুন
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা মূলত মার্কিন ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। পাউন্ডের মূল্য সারা দিন অপরিবর্তিত ছিল, কারণ এটির মূল্য মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এবং পরে উভয় ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি পেয়েছিল। মনে হচ্ছিল যে মার্কেটের ট্রেডারদের পাউন্ড বিক্রি করার আগ্রহ শেষ হয়েছে। আমরা আগেও বহুবার উল্লেখ করেছি যে ইউরোর তুলনায় ব্রিটিশ মুদ্রা পাউন্ড মার্কিন ডলারের বিপরীতে দরপতনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রতিরোধ প্রদর্শন করছে। ফলে, আমরা সোমবার বা মঙ্গলবার একটি কারেকশন দেখতে পারি। এরপর, সবকিছু মার্কেটের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। যদি আবার বিনা কারণেই পাউন্ডের ক্রয় এবং ডলারের বিক্রয় শুরু হয়, তাতে কিছু করার নেই—এটা মেনে নিতে হবে। আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই। তবে, বড় ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্য আরও বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারে, কারণ তাদের সামষ্টিক অর্থনীতি এবং মৌলিক পটভূমিত প্রতি নির্ভর করতে হয় না।
শুক্রবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু আবারও সেগুলো কার্যকর করা বেশ কঠিন ছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় মূল্য 1.3145-1.3167 এরিয়াতে ফিরে এসেছিল, কিন্তু মার্কিন সেশনের শুরুতে এই পেয়ারের মূল্য ৫ মিনিটের মধ্যে 65 পিপস কমে যায়। তাই ট্রেডে এন্ট্রি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া ব্রেক করে, তবে তখন পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মোমেন্টাম সমাপ্তির দিকে ছিল। এই সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে সেল ট্রেড এন্ট্রি করলে লোকসান হত না, তবে লাভ করার সম্ভাবনাও কম ছিল। মার্কেটের ট্রেডাররা এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আপাতত তাদের পাউন্ড বিক্রির ইচ্ছা নেই।
এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, তাই "কনভালশনস" হিসেবে বিবেচিত দুর্বল মুভমেন্টগুলো শুধু দেখে যাওয়ার পরিবর্তে প্রতিদিনই ট্রেডিং করা সম্ভব। মার্কিন ডলারের মূল্যের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৃদ্ধির সূচনা হয়েছে, তবে এই পেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত, কারণ শুক্রবার মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে পাউন্ড বিক্রি করার প্রতি খুব বেশি আগ্রহ দেখা যায়নি।
সোমবার ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হতে পারে, বিশেষ করে 1.3102-1.3107 এরিয়ার দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত, শুক্রবার এখানে এই পেয়ারের মূল্য স্থিতিশীল হয়েছিল। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পাউন্ডের মূল্যের এই কারেকশনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440, 1.3488, and 1.3537। সোমবারে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই, তাই আমরা সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের ধীরগতির ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন দেখতে পারি।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।