empty
 
 
06.10.2024 10:10 AM
৪ অক্টোবরে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ইভেন্টের পর্যালোচনা

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

শুক্রবার অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলোর প্রায় সবগুলোই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রের ননফার্ম পেরোল, বেকারত্বের হার এবং মজুরি স্তর সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই প্রতিবেদনগুলোর জন্যই মার্কেটের ট্রেডাররা এই সপ্তাহের শুরু থেকে অপেক্ষা করছে। প্রথম চার দিনে, ডলার সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল এবং মৌলিক পরিস্থিতি থেকে দৃঢ় সমর্থন পেয়েছে, তবে উল্লেখ্য যে ফেডারেল রিজার্ভ এখন মুদ্রাস্ফীতির পরিবর্তে শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের পরিস্থিতির উপর বেশি ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যদি আজ এই দুটি প্রতিবেদনের অসন্তোষজনক ফলাফল দেখা যায়, তবে মার্কিন ডলার দ্রুতই "অধিক পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত সবকিছু হারাতে" পারে।

মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা:

This image is no longer relevant

শুক্রবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস দে গুইন্ডোস এবং তার কয়েকজন সহকর্মীর বক্তৃতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের প্রতিনিধিগণও বক্তৃতা দেবেন। তবে, আজ মার্কেটের ট্রেডাররা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের দিকে বেশি নজর দেবে না বরং তারা মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের দিকে নজর রাখবে। উপরন্তু, সোমবার, ক্রিস্টিন লাগার্ডে এবং জেরোম পাওয়েল আসন্ন বৈঠকগুলোতে ইসিবি এবং ফেডের কাছ থেকে কী আশা করা উচিত তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে জবাব দিয়েছিলেন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের জন্য নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দরকার হবে।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিং, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, তবে পুরো পরিস্থিতি আজকের ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের চলাকালীন উভয় পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে মার্কিন সেশনে ভোলাট্যালিটি বা অস্থিরতার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কোন দিকে যাবে তার পূর্বাভাস দেয়া অসম্ভব। শুধু প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.