empty
 
 
30.09.2024 08:04 AM
৩০ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ইভেন্টের পর্যালোচনা

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

সোমবার শুধুমাত্র অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে, এবং সেগুলোর কোনটিই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে, সেপ্টেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা প্রথম নজরে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হতে পারে। যাইহোক, প্রথমত, এটি ইউরোজোনের 27টি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র একটি দেশের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং দ্বিতীয়ত, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যেই দুইবার সুদের হার কমিয়েছে, তাই মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা আগের মতো এতটা গুরুত্ব বহন করে না। যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার 0.6% এবং 0.7% এর মধ্যে থাকতে পারে। মার্কেটের অনেক ট্রেডার এই ধরনের প্রবৃদ্ধিকে "পুনরুদ্ধার" বলতে পছন্দ করেন, কিন্তু আমরা এটিকে অত্যন্ত দুর্বল বলে মনে করি। মার্কিন অর্থনীতি এর চেয়ে অনেক দ্রুত প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করছে, যা ট্রেডাররা উপেক্ষা করে চলেছে।

মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা:

This image is no longer relevant

সোমবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে, প্রথমে ইসিবি সভাপতি ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার কথা উল্লেখ করা উচিত। বৃহস্পতিবার, তারা মার্কেটের ট্রেডারদের আকর্ষণীয় কোন তথ্য দেননি বা মুদ্রানীতির বিষয়ে আলোচনাও করেননি। তবুও, এখনও ডলার দুর্বল রয়েছে। অতএব, সোমবার পাওয়েল এবং লাগার্ডে যাই বলুক না কেন, ডলারের আবারও দরপতন হতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে শুধুমাত্র ফেডের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের উপর ভিত্তি করে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।

উপসংহার:

নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিং, ইউরোর মূল্য 1.1091 এবং 1.1191 এর মধ্যে অবস্থিত একটি সীমিত রেঞ্জের মধ্যে থাকতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ড অপ্রতিরোধ্য বলে মনে হচ্ছে, কারণ এটির মূল্য ইউরোর তুলনায় অনেক বেশি ঘন ঘন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পাউন্ডের জন্য এখন মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির কোন ভূমিকা নেই। অতএব, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.