আরও দেখুন
শুক্রবার আবারও EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যাইহোক, আমরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই পেয়ারের মূল্যের চলমান মুভমেন্টকে সাইডওয়েজ হিসাবে চিহ্নিত করতে পারি। এটি খালি চোখেও বেশ স্পষ্ট। বেশিরভাগ সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.1091 এবং 1.1191 এর মধ্যে রয়েছে। সামান্য ঊর্ধ্বমুখী ঢাল এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ইউরো কেনার এবং ডলার বিক্রি করার ইচ্ছা চলে দেয়নি। কিন্তু এই পর্যায়ে, আমরা অন্তত বলতে পারি যে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট থেমে গেছে।
অবশ্যই, এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি এ সপ্তাহের প্রথম দিকে আবার শুরু হতে পারে। ক্রেতারা এমন দিনগুলোতেও এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি করতে থাকে যখন সবকিছু মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী হওয়ার দিকে নির্দেশ করে। এর একটি সুস্পষ্ট উদাহরণ ছিল বৃহস্পতিবার যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় শক্তিশালী ছিল, তবুও দিনের শেষভাগে মার্কিন মুদ্রা দরপতনের শিকার হয়েছিল। নতুন সপ্তাহে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ হতে যাচ্ছে, তাই ডলারের আরও একবার দরপতনের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, মূল্য 1.1132-1.1140 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছে; মার্কিন সেশনে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1189-1.1191 এরিয়াতে উঠেছিল এবং সেখান থেকে বাউন্স করেছে। দিনের শেষে, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় সেই জায়গায় ফিরে আসে যেখান থেকে সর্বশেষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। ফলে, নতুন ট্রেডাররা একটি লং এবং একটি শর্ট উভয় পজিশন ওপেন করতে পারে, যার প্রতিটি থেকে প্রায় 20-30 পিপস মুনাফা পাওয়া গেছে।
প্রতি ঘণ্টার চার্টে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু ক্রেতাদের ক্রমাগত চাপে এই সম্ভাবনাগুলো আমাদের চোখের সামনে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটে মাঝারি মেয়াদে সহজেই অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি চলমান থাকতে পারে, কারণ কেউ জানে না যে ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করবে এবং ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের বিষয়টি উপেক্ষা করবে। যাইহোক, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে মার্কেটের ট্রেডারদের এই পেয়ারের মূল্যকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করাকে কঠিন বলে মনে করছে। আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তির কাছাকাছি থাকতে পারি, কিন্তু নতুন সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
সোমবার ট্রেডিংয়ের জন্য সম্ভাব্য রেঞ্জ হল 1.1132-1.1140 এর এরিয়া, যা মোটামুটিভাবে 1.1091-1.1191 এর হরিজন্টাল চ্যানেলের মাঝখানে অবস্থিত।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত: 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140, 1.1189-1.1191, 1.1275-1.1292। সোমবার, জার্মানিতে সেপ্টেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির প্রথম অনুমান প্রকাশ করা হবে, এবং দিনের বেলায় ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। ফলে, ডলার আবার বিপদের মুখে রয়েছে, কারণ ট্রেডাররা যেকোন ইভেন্ট বা প্রতিবেদনকে ডলারের বিপরীতে ব্যাখ্যা করছে।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।